বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:০৭ অপরাহ্ন
বিশেষ প্রতিবেদক : চকরিয়ার উপকূলীয় ইউনিয়ন বদরখালীর নৌ চ্যানেলে সৃজিত প্যারাবনের ভেতর নদীর চর দখল করে অবৈধভাবে বাঁধ দিয়ে চিংড়ি ঘের নির্মাণ করার চেষ্টা চালিয়েছে একটি চক্র। শনিবার (১৩ জানুয়ারী) এ খবর পেয়ে প্রশাসনের যৌথ টিম অভিযানে গিয়ে বাঁধ নির্মাণ বন্ধ করে দিয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ১৯৯১ সালের প্রলয়ংকরী ঘূর্ণিঝড়ে জানমালের ব্যাপক ক্ষতি হয়। এরপর উপক‚লীয় বাসিন্দাদের জ্বলোচ্ছ¡াস থেকে রক্ষা করতে এগিয়ে আসে দেশের এনজিও সংস্থা উবিনীগ ও জাপানের ওয়েস্কা। এই সংস্থা দুটি শ্রমিক ও শিক্ষার্থী নিয়ে এসে সবুজ বেষ্টনীর আওতায় ব্যাপক বাইন ও কেওড়া গাছের চারা রোপণ করে। এসব চারা বড় গাছে পরিণত হয়েছে। সে সব চারা গাছ কেটে চিংড়ি ঘের নির্মাণ করা হয়েছে অনেক এলাকায়। বদরখালীর বাসিন্দাদের জোয়ার ও জ্বলোচ্ছ¡াসের খপ্পর থেকে রক্ষা করতে নৌ-চ্যানেল ঘেঁষে পাউবো নির্মাণ করে বাঁধ। সেই বাঁধকে রক্ষায় গাছ লাগিয়ে প্যারাবন সৃষ্টি করা হয়। এই জমি রক্ষণাবেক্ষণ করে বদরখালী কৃষি ও উপনিবেশ সমবায় সমিতি। এই সমিতির নির্দেশনা ছাড়া কেউ কিছুই করার সাহস করেনা। সভ্যদের সমিতির পক্ষ থেকেই জানিয়ে দেয়া হয় কে কোথায় কি করবেন।
শনিবার সকালে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছবিসহ ছড়িয়ে পড়ে বদরখালী ইউপি চেয়ারম্যান নুরে হোছাইন আরিফের নেতৃত্বে প্যারাবনে বাঁধ দিয়ে চিংড়ি ঘের তৈরির চেষ্টা চলছে। এসব দেখে তৎপর হয় প্রশাসন। ১৩ জানুয়ারি (শনিবার) দুপুর ১টার দিকে চকরিয়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রাহাত উজ জামানের নেতৃত্বে থানা পুলিশ ও বনবিভাগ ঘটনাস্থল পরির্দশন করে কাজ বন্ধ করে দিয়েছেন।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে বদরখালী ইউপি চেয়ারম্যান নুরে হোছাইন আরিফ বলেন,সকালে ঘুম থেকে উঠেই নজরে পড়ে ‘ আমার নেতৃত্বে প্যারাবন দখল করে চিংড়ি ঘের তৈরি হচ্ছে ‘। সদ্য সাবেক সংসদ সদস্য জাফর আলমসহ তাঁর অনুসারী অনেকেই ফেসবুকে আমাকে জড়িয়ে অপপ্রচার চালানো হয়। গত ৭ জানুয়ারী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগের নির্দেশনায় হাতঘড়ির পক্ষে কাজ করায় আমার সুনাম ক্ষুন্ন করতে এমন প্রচারণা চালানো হয়। মুলত প্যারাবনে কিছু হলে তার দায়দায়িত্ব বদরখালী কৃষি ও উপনিবেশ সমবায় সমিতির।
তিনি আরও বলেন, পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আমাকে বিষয়টি দেখতে ফোনে জানালে আমি সরেজমিন পরিদর্শন করে বিস্তারিত জানিয়েছি। এরপর প্রশাসন ঘটনাস্থলে গিয়ে কাজ বন্ধ করেছে।
কক্সবাজার উবিনীগের আঞ্চলিক শাখার সমন্বয়ক জয়নাল আবেদিন খাঁন (খাঁন জয়নাল) বলেন, প্যারাবনের চারদিকে বাঁধ দিয়ে চিংড়ি ঘের নিমার্ণের পাঁয়তারা একটি জঘন্যতম অপরাধ।
চকরিয়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রাহাত উজ জামান বলেন, নদী দখলকারীদের প্রশাসন কোন সময় ছাড় দেয়না। নদী বা চর দখল করে চিংড়ি ঘের নির্মাণ করছে খবর পেয়ে দ্রæত গিয়ে কাজ বন্ধ করে দিয়েছি।
.coxsbazartimes.com
Leave a Reply